নজরুল ইসলাম: ১৯৭৩সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আন্দোলন করে প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেছিলেন,২০১৩সালে রেজিঃকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়কে ইস্পাত কঠিন ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করে জাতীয়করণ করলেন।
এমপিওভুুক্ত শিক্ষকরা চরম বৈষম্যের শিকার হয়েও অধিকার আদায়ের আন্দোলনে আমরা কি প্রাথমিকের ন্যায় আন্দোলনকে যৌক্তিক জায়গায় নিয়ে যেতে পেরেছি?
আমরা কি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করলে একদিকে শিক্ষায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে, নন্দিত হবেন বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে, অন্যদিকে সরকারের উল্লেখযোগ্য কোন অর্থ লাগবে না?
এই ব্যর্থতার দায় -দায়িত্ব এমপিওভুক্ত শিক্ষক সংগঠন এবং শিক্ষক নেতারা কি অস্বীকার করতে পারবেন? বাংলাদেশে কোনো পেশাজীবীদের এত সংগঠন,এত বিভাজন আছে কি?
নিকট ভবিষ্যতে মহান জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে, প্রতিনিধিত্বশীল সকল শিক্ষক সংগঠন যদি শিক্ষা এবং পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষকের স্বার্থে প্রাথমিক শিক্ষক এবং শিক্ষক সংগঠনের ন্যায় ইস্পাতকঠিন ঐক্য গড়ে তুলে ঐতিহাসিক আন্দোলন করতে না পারেন,তাহলে শিক্ষা জাতীয়করণ অধরাই রয়ে যাবে!
লেখাটি পাঠকের সম্পূর্ণ নিজস্ব মতামত।