সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৮:৫৭ অপরাহ্ন
Title :
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দল ভালুকা সদর ইউনিয়ন কমিটি অনুমোদন ময়মনসিংহ সদরে ভিডব্লিউবি কার্যক্রমের উপকারভোগী বাছাই উপলক্ষে মতবিনিময় সভা সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন গ্রেপ্তার ওসমান গনি ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কে মরণফাঁদ! প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ভালুকা উপজেলা মহিলাদলের কমিটি অনুমোদন সভাপতি শামিমা রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন আক্তার দীনা বরিশাল – ৪ হিজলা – মেহেন্দিগঞ্জেে বিএনপি’র            কে হচ্ছে ধানের শীষের কান্ডারী রংপুর কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের ২১ দফা দাবিতে রেলপথ অবরোধ, বিক্ষোভ অব্যাহত মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে সাবেক এমপি ফয়সাল বিপ্লব গ্রেফতার ওসমান গনি বেলকুচিতে ছাতু খেয়ে তানহা খাতুন নামে শিশু বাচ্চার মৃত্যু, অসুস্থ হয়ে আরও ২ জন হাসপাতালে ভর্তি, শ্রমিক অধিকার পরিষদ সিলেট সদর উপজেলার সভাপতিকে কারন দর্শানোর নোটিশ

দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত, আরএমও ব্যস্ত স্ত্রীর হাসপাতালে

বিশেষ প্রতিনিধি,
  • Update Time : রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫
  • ১৮ Time View

রতন ঘোষ বিশেষ প্রতিনিধি ;

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জীর্ণশীর্ণ হাসপাতালকে নাস্তানাবুদ করার অভিযোগ খোদ হাসপাতালে নিযুক্ত আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। 

সরকারি একটি হাসপাতালে সেবা নিতে আসা মানুষ এবং সেখানে কর্মরত কর্মীদের প্রায় সবধরনের সুযোগ-সুবিধা দেখভালের দায়িত্বে নিযুক্ত থাকেন একজন আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা। দায়িত্বের সফল বাস্তবায়নের জন্য এই কর্মকর্তার কাজের ধরণ এবং দৈনন্দিন চলাচলেও ভিন্ন নীতিমালা রয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের। কুষ্টিয়ায় জীর্ণশীর্ণ অবকাঠামোতে ঠেলেঠুলে চলা দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘটছে উল্টো চিত্র। এক যুগ হলো কাজে যোগদানের পর থেকেই নিজস্ব হাসপাতাল নিয়েই ব্যাস্ত থাকেন এখানকার আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ছামসুল আরেফিন সুলভ। স্বয়ংক্রিয় উপস্থিতি নিশ্চিত করা, আর মাঝেমধ্যে নিজের চেম্বার অলংকৃত করা ছাড়া তিনি তেমন কিছুই করেননা বলে সুস্পষ্ট ও যৌক্তিক অভিযোগ রয়েছে। তবে, অভিযোগ ও সত্যতা বরাবর মিললেও ডাক্তার ছামসুল আরেফিন দৌলতপুরের স্থানীয় হওয়ায় পুরো সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ নিজের কব্জায় রাখতে তাকে বেগ পেতে হয়না।

১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠা পাওয়া এই হাসপাতালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিভিন্ন সরকার উন্নয়নের নানা উদ্যোগ হাতে নিলেও বারবারই তা বিফলে গেছে। প্রায় ৫শো বর্গ কিলোমিটার আয়তনের উপজেলা দৌলতপুরের ৭ লাখের বেশি মানুষের জন্য ৫০ শয্যার হাসপাতালের টুকিটাকি সেবা অপ্রতুল হলেও তারও সফল বাস্তবায়ন নেই। যদিও এর পিছনের অন্যতম কারণ জনবল আর যন্ত্রপাতির তীব্র সংকট। মরার ওপর খাড়ার ঘা হয়েছেন আরএমও। এমন মন্তব্য দৌলতপুরের যত্রতত্র মানুষের। খবর সংগ্রহে হাসপাতালে গেলে জানা যায়, কয়েক বছর আগেও এখানে ১৮ থেকে ২০ জন চিকিৎসক ছিলো, এখন মাত্র ৪-৫ জন।

হাসপাতালের নতুন ভবনে বহির্বিভাগে রোগী দেখার করিডোরেই বসার ঘর হাসপাতালটির আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ছামসুল আরেফিনের। অনুসন্ধানের প্রথম দিন ঘরে ঢুকে কোনো চিকিৎসকই পাওয়া যায়নি, তবে ঘরে-বাইরে টিকেট হাতে সেবা প্রত্যাশী রোগীর ভিড় দেখা গেছে, দ্বিতীয় দিন দেখা গেছে তিনি ছিলেন-কিন্তু নেই! উপজেলার হোসেনাবাদ এলাকা থেকে আসা সবুজ আলী জানান, ৫ টাকা দিয়ে টিকেট কেটে এক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর জানতে পারেন চিকিৎসক ছামসুল আরেফিন ভিতরে নেই, তিনি ছিলেন কিন্তু বাইরে গেছেন, গেছেন কিন্তু ঘণ্টার বেশি হলেও আসেননি,আসবেন কি-না তাও জানা নেই। আরেক অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান করা হলে দেখা যায় আরএমও’র কক্ষে রোগী দেখেন অন্যকোনো ব্যক্তি, একেকদিন একেজনকেও দেখা গেছে। এমন দিন এই আবাসিক চিকিৎসকের দৌলতপুরের চাকুরী জীবনে দৈনন্দিন। স্ত্রীর মালিকানা সহযোগিতায় এখানে তিনি শুরু থেকেই গড়ে তুলেছেন নিজস্ব বেসরকারি হাসপাতাল। সেখানেই রোগী দেখা ও  সার্বিক ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সময় দিতে হয় তাঁকে।চিকিৎসা নিতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হওয়া স্থানীয় তরুণ সামি বলেন, খোদ কর্মকর্তারা স্থানীয় ছেলে তাদের সিন্ডিকেটই বড় সিন্ডিকেট। আরএমও  নিজের চাকুরির দায়িত্বের চেয়ে তার ব্যবসাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে আসছেন। এখানে তার নিজস্ব হাসপাতাল আছে তিনি সেখানেই ডিউটি করেন। নিজস্ব দালাল সিন্ডিকেট দিয়ে বাইরের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চালান। দৌলতপুরের স্বাস্থ্য সেবা তার (ছামসুল আরেফিনের) রামরাজত্ব বলেও মন্তব্য করেন এই তরুণ।

হাসপাতালটির অনেক কর্মকর্তা কর্মচারীও এসবে অতিষ্ট কিন্তু পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক। স্থানীয় যুবক শরীফুল জানান, আওয়ামীলীগের সময় স্থানীয় নেতাদের আশীর্বাদে নিজ এলাকায় বদলি পাওয়া কর্মকর্তারা এখানে দীর্ঘ সময় ধরে আছে। আরএমও যতদিন আছে, অতীতে এখানে কখনো কোনো কর্মকর্তা এত দীর্ঘ মেয়াদে থাকেনি। স্থানীয় হওয়ায় জনসাধারণের কাছে জবাবদিহিতার প্রয়োজন মনে করেনা, আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে একাধিকবার বদলি ঠেকিয়েছেন তিনি।  টিএইচও এবং আরএমও দুজনে এই এলাকারই ছেলে, অভ্যন্তরীণ গাফিলতির বিষয়ে আরএমওকে জবাবদিহিতায় রাখতে প্রধান কর্মকর্তা টিএইচও সক্ষম নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2025 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102