রাজশাহীর জেলার অধিকাংশ বাজারেই নেই কোনো তদারকি, নেই নিয়মিত বাজার মনিটরিং। আর সেই সুযোগেই কিছু অসাধু দোকানদার জনগণের সাথে প্রতারণা করছে । বিশেষ করে সিগারেটের বাজারে চলছে ভয়াবহ অনিয়ম। প্যাকেটে লেখা দামের চেয়ে প্রতিটি প্যাকেটে ৩০-৩৫ টাকা পর্যন্ত বেশি আদায় করছেন দোকানিরা। অথচ কোথাও নেই মূল্য তালিকা, নেই প্রশাসনিক নজরদারি।মোহনপুর, তানোর সহ বিভিন্ন উপজেলার বাজার—মোহনপুর,কেশোর,তিরমহিনি,বাদেজুল মুন্ডুমালা, গোল্লাপাড়া, কালিগঞ্জ , কাশিমবাজার , চাঁদপুর, কামারগা , তালন্দ বাজার, চৌবাড়িয়া, , মুণ্ডমালা পৌর এলাকা করিমপুর, এছাড়াও গ্রামের বিভিন্ন ছোটখাটো দোকানে দেখা যাচ্ছে একই চিত্র। দোকানে পণ্যের কোনো মূল্য তালিকা নেই। একেক দোকানে একেক রকম দাম। কেউ বলেন, পাইকারি দামে বেড়েছে, আবার কেউ বলে“এটাই তো চলছে ।” বিশেষ করে ডার্বি, রয়েল নেক্সট, স্টার, গোল্ড লিফ ও বেনসন ব্র্যান্ডের সিগারেটের ক্ষেত্রে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অনেক বেশি আদায় হচ্ছে। খুচরা পর্যায়ে এক শলাকা সিগারেটের ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত ৩ থেকে ৫ টাকা আদায় করছে দোকানিরা।
ভাতুড়িয়া গ্রামের ছবিল বলেন, “প্রতিদিন এক প্যাকেট সিগারেট নেই, কয়দিন আগেও ৭২ টাকায় পেতাম, এখন নিচ্ছে ৯০ টাকা। অথচ গায়ে তো দামই লেখা!” আছে ৫২ টাকা. ভ্যানচালক মাইনুল বলেন, “এক দোকান বলে এক রেট, আরেক দোকান বলে আরেকটা। কোথাও লিখেও রাখে না দামটা।” অভিযোগ রয়েছে, বড় বড় দোকানদাররা বাজেট ঘোষণার আগেই পুরনো দামে লাখ লাখ টাকার সিগারেট মজুদ করে রেখেছেন, আর এখন বাজেটের গুজবকে পুঁজি করে তা অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছেন।
কোম্পানির ডিপু ম্যানেজার বলেন কোন দাম বাড়েনি কোম্পানি হতে।।
শুধু বড় দোকান নয়, তাদের দেখাদেখি ছোট দোকানগুলোও এই অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে মুন্ডুমালা বাজারের রহিম স্টোর, নজরুল দোকানদার, নাম না জানা আরোও কয়েকটি দোকানে প্যাকেট প্রতি পঁচিশ থেকে ত্রিশ টাকা বেশি নিচ্ছে। ভোক্তারা বলছেন, “বাজারে কোনো মূল্য তালিকা নেই বলেই এতো অনিয়ম সম্ভব হচ্ছে।” আইন অনুযায়ী প্রতিটি দোকানে মূল্য তালিকা টাঙানো বাধ্যতামূলক হলেও তানোরের অধিকাংশ দোকানদারই সেই নিয়ম মানছেন না। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের একটাই দাবি-নিয়মিত বাজার মনিটরিং, জরুরি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা এবং দৃষ্টান্তমূলক জেল-জরিমানা।
তারা বলছেন, জরিমানা দিয়ে বারবার পার পেয়ে যাচ্ছে চক্রটি, এবার সময় এসেছে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার।