লাইভ ডেস্ক: কয়েকদিন ধরে পাবনায় মাঝারি ও মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এরই মাঝে দেখা দিলো শিলাবৃষ্টি। শনিবার (৫ এপ্রিল) পাবনা সদর উপজেলার দোগাছি ইউনিয়নের চর আশুতোষপুরসহ কয়েকটি গ্রামে শিলাবৃষ্টি হয়েছে। তবে এ বৃষ্টিতে দৃশ্যমান তেমন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
আরো পড়ুন:
পাবনায় পদ্মা নদীতে নিখোঁজ স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
চাষিরা বলছেন, মাটিতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি হওয়ায় মুকুলের পরিবর্তে কচি পাতায় ছেয়ে গেছে লিচু গাছ। আমের মুকুলও কম এসেছে। এরমধ্যে শিলাবৃষ্টি হলে শেষ আশাটুকুও বিলীন হবে তাদের।
ঈশ্বরদীর চাষি রেজাউল করিম জাগো নিউজকে বলেন, ‘গতবছর গাছে ৯০-৯৫ শতাংশ মুকুল ছিল। এবার ৭৫ শতাংশই নেই, আছে ২৫ শতাংশ। গাছে কোনো মুকুল নেই আছে শুধু পাতা। কয়েকটা গাছে একটা-দুইটা করে এসেছে। এগুলো এখন ছোট্ট ছোট্ট গুটিতে রূপ নিয়েছে। এরমধ্যে যদি ঝড় বা শিলাবৃষ্টি হয়, তাহলে সব ঝরে যাবে।’
সদর উপজেলার চর আশুতোষপুর গ্রামের ডাবলু বলেন, ‘এখন আমগাছে গুটি রয়েছে। বড় ধরনের ঝড় বা শিলাবৃষ্টি হলে এগুলো ঝরে যাবে। তবে আজকের বৃষ্টিতে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। খুব ঘন ঘন শিলা পড়লেও ২-৩ মিনিটে থেমে গেছে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ৫ এপ্রিল থেকে আগামী পাঁচ দিন পাবনায় কোনো বৃষ্টি নেই। তবে মাঝারি ও মৃদু তাপপ্রবাহ রয়েছে।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন বলেন, পাবনায় আজ মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজকের তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ৪ এপ্রিল ৩৬ ডিগ্রি ও ৩ এপ্রিল ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
বৃষ্টি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পূর্বাভাস অনুযায়ী পাবনায় কয়েকদিনে বৃষ্টি নেই। তবে এখন চৈত্র মাস। চৈত্র-বৈশাখ মাসে অপ্রত্যাশিতভাবেও অনেক সময় ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে।
পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) মো. রোকনুজ্জামান বলেন, আবহাওয়া পূর্বাভাসে যেহেতু বৃষ্টি নেই, তাই চাষিদের খুব বেশি আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই
সম্পাদক মোঃ লিটন উজ্জামান,, নির্বাহী সম্পাদক মোঃ তুফান চৌধুরী,,
বাংলাদেশ -ঢাকা ,কুষ্টিয়া জেলা শাখা,কুষ্টিয়া সদর
মোবাইল : ০১৩০৫২৯১৯১৪,০১৭১০৩৪০৪৫৩
ইমেইল: anusondananusondan@gmail.com
Design and Develop By Coder Boss